অ্যাম্বার হার্ডের চেহারা বিশ্বের সবচেয়ে নিঁখুত, এই দাবিটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। হতে পারে আমেরিকার সবচেয়ে সুন্দর মুখগুলোর মধ্যে অ্যাম্বার হার্ডের মুখটি রয়েছে কিন্তু পরিপূর্ণতার বিচারে সৌন্দর্যে বেলা হাদিদই প্রথম।
প্রাচীনকালের কিছু বৈজ্ঞানিক মান অনুসারে, কোনো শৈল্পিক কাজ, কোনো বস্তু, কোনো দালান এমনকি মানবমুখেরও নান্দনিকতা পরিমাপ করা সম্ভব।
এক্ষেত্রে ব্যক্তিত্ব, মোহময়তা কিংবা কমনীয়তা খুব একটা ভূমিকা পালন করে না কারণ শারীরিকভাবে নিখুঁত হওয়া কেবলই একটি বৈজ্ঞানিক বিষয়। আর এই ক্ষেত্রেই অ্যাম্বার হার্ডের তুলনায় এগিয়ে আছেন বেলা হাদিদ।
লন্ডনের সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড ফেসিয়াল কসমেটিক অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি- এর ডা. জুলিয়ান ডি সিলভা বিশ্বের সবচেয়ে নিখুঁত চেহারা বের করতে ‘গ্রিক গোল্ডেন রেশিও’ নামক একটি ফেস-ম্যাপিং পদ্ধতি ব্যবহার করেন। এ পদ্ধতিতে সৌন্দর্য্য পরিমাপের অনুপাতটি হলো ১.৬১৮।
ফেসিয়াল ম্যাপিং কিভাবে কাজ করে তা ব্যাখ্যা করেছেন ডি সিলভা। কারো চোখ, মুখ, নাক থুতনিসহ মুখের সর্বোপরি কাঠামো বুঝতে এই পদ্ধতি ব্যবহৃত হয় এবং বৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্ধারণ করা হয় সবচেয়ে সুন্দর ও নিখুঁত চেহারার মানুষকে।
অ্যাম্বার হার্ডের চেহারার ১২টি অংশ বিশ্লেষণ করে ডা. জুলিয়ান ডি সিলভা বলেন, গোল্ডেন রেশিও অনুযায়ী হার্ডের চেহারা ৯১.৮৫ শতাংশ নিখুঁত। কিন্তু তিন বছর আগেই বেলা হাদিদ ও পপ ডিভা বিয়ন্সে এই হিসাবে এগিয়ে আছেন।
গোল্ডেন রেশিও অনুসারে বিয়ন্সের চেহারা ৯২.৪৪ শতাংশ নিখুঁত। অন্যদিকে, বেলা হাদিদের চেহারা ৯৪.৩৪ শতাংশ অর্থাৎ, সবচেয়ে বেশি নিখুঁত।
সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতার এই বৈজ্ঞানিক র্যাঙ্কিং নতুন কিছু নয়। ২০১৬ সালে ডেইলি মেইলে প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী ৯১.৮৫ শতাংশ নিখুঁত চেহারা নিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর মুখের অধিকারী ছিলেন অ্যাম্বার হার্ড।
কিন্তু তিন বছর পর একই পত্রিকা ঘোষণা করে ৯৪.৩৪ শতাংশ নিখুঁত চেহারা নিয়ে বেলা হাদিদ আছেন প্রথম স্থানে, পপ ডিভা বিয়ন্সে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অ্যাম্বার হার্ড।
সূত্র: ইনকয়্যারার ডটনেট।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।